উত্তর: জুমআর দিন ইন্তেকাল করলে আল্লাহ তা'আলা ওই ব্যক্তিকে কবরের আযাব থেকে হেফাজত করবেন৷ এরকম হাদীস বিভিন্ন হাদীসের কিতাবে এসেছে৷
عن عبد الله بن عمرو، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ما من مسلم يموت يوم الجمعة إلا وقاه الله فتنة القبر.
(رواه الترمذي: (١٠٧٤) وأحمد (٢/١٦٩) (٦٥٨٢). والحديث صحيح بمجموع طرقه أو حسن.
"আবদুল্লাহ বিন আমর রা, হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কোন মুসলিম জুমু‘আর দিন বা জুমু‘আর রাতে মারা গেল আল্লাহ তা‘আলা তাকে অবশ্যই কবরের আযাব থেকে রেহাই দেবেন৷" (তিরমিযী: ১০৭৪, আহমাদ: ৬৫৮২)

সব সূত্র মিলিয়ে হাদীসটি সহীহ অথবা হাসান থেকে কম নয়৷ তাই হাদীস দলীলযোগ্য৷

যেহেতু শুক্রবারের বিশেষ ফযীলত রয়েছে, আশা করা যায় শুক্রবারের বরকতে আল্লাহ তাআলা তার কবরের আযাব মাফ করে দিতে পারেন৷

রামাযান মাস হলো নেক আমলের মওসুম, আর নেক আমল হলো জান্নাত লাভের উপায়৷ আল্লাহ তাআলা বলেন:
ادْخُلُواْ الْجَنَّةَ بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ.
(سورة النحل: ٣٢)
"তোমরা যে আমল করতে, তার প্রতিদানে জান্নাতে প্রবেশ করো৷" (সূরা আন-নাহল: ৩২)
যেহেতু রামাযান মাসে জান্নাতের দরজা খোলা থাকে, জাহান্নামের দরজা বন্ধ থাকে, তাই রোজাবস্থায় মারা গেলে জান্নাতের আশা করা যায়৷
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাআইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
إذا جاء رمضان فتحت أبواب الجنة وغلقت ابواب جهنم وصفدت الشياطين.
(رواه البخارى: ١٨٩٨ و مسلم: ١٠٧٩)


উত্তর প্রদানে: মুফতি জিয়াউর রহমান