যিলহজ্ব মাসের তাৎপর্য ও আমল মুফতি জিয়াউর রহমান যিলহজ্ব মাস মহিমান্বিত মাসগুলোর একটি৷ রামাযানের পরেই যে মাসটি সবচে বেশি ফযিলতপূর্ণ ও তাৎপর্যমণ্ডিত৷ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল ও রুকন হজ্বের কার্যক্রম এ মাসেই সম্পন্ন করা হয়৷ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কুরবানি এ মাসেই আদায় করা হয়৷ তাছাড়া এ মাস সম্মানিত চার মাসের অন্যতম৷ ইসলাম-পূর্ব যুগ থেকেই এ মাসের সম্মান এবং মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত৷ এ মাসের সবচেয়ে ফযিলতপূর্ণ অংশ হলো যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশক তথা আশারায়ে যিলহজ্ব৷ কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা এই দশকের শপথ করেছেন৷ ইরশাদ হচ্ছে- وَالْفَجْرِ. وَلَيَالٍ عَشْرٍ অর্থ: শপথ ফজরের৷ শপথ দশ রাত্রির৷ (সুরা ফাজর: ১-২) যেহেতু আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দাদের উপর অনুগ্রহ করে ইবাদতের জন্য বিশেষ বিশেষ মওসুম দিয়েছেন, যে সময়গুলোতে নির্ধারিত ও কাঙ্ক্ষিত ইবাদত করে বান্দা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য হাসিল করবে৷ সেই হিসেবে ইবাদতের গুরুত্বপূর্ণ মওসুম হলো, যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশক৷ এই দশকের ফযিলত ও তাৎপর্যের জন্য এটাই যথেষ্ট যে, আল্লাহ তাআলা এই দশকের কসম করেছেন৷ তদুপরি হাদিসে এই দশকের তাৎপর্য ও ফযিলত সম্পর্কে অনেক বিবরণ এসেছে৷ এই দশকের আমল (শহিদ হওয়া ছাড়া) জিহাদের চাইতেও অধিক ফযিলতপূর্ণ৷ রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন- مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيهَا أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ يَعْنِي أَيَّامَ الْعَشْرِ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟ قَالَ: وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، إِلَّا رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ، فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَيْءٍ. অর্থ: আল্লাহর নিকট যিলহজ্ব মাসের দশ দিনের নেক আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সাহাবায়ে কেরাম আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও (এর চেয়ে উত্তম) নয়? তিনি বললেন, না, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়। তবে হাঁ, সেই ব্যক্তির জিহাদের চেয়ে উত্তম যে নিজের জান-মাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য বের হয়েছে। অতপর কোনো কিছু নিয়ে ঘরে ফিরে আসেনি।  (সহীহ বুখারী: ৯৬৯) আরেকটি হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন أَفْضَلُ أَيَّامِ الدُّنْيَا أَيَّامُ الْعَشْرِ، عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ، قَالَ: وَلَا مِثْلُهُنَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟ قَالَ: لَا مِثْلُهُنَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلَّا رَجُلٌ عَفَّرَ وَجْهَهُ فِي التُّرَابِ. অর্থ: দুনিয়ার সর্বোত্তম দিনগুলো হল, যিলহজ্বের দশদিন। জিজ্ঞাসা করা হল, আল্লাহর রাস্তায়ও কি তার সমতুল্য নেই? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায়ও তার সমতুল্য নেই। তবে ঐ ব্যক্তি যার চেহারা ধুলিযুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ শাহাদাত লাভ করেছে। (মুসনাদে বাযযার: ১১২৮, মুসনাদে আবু ইয়ালা: ২০১০, ইবনে হিব্বান) যেহেতু উপরের দুই হাদিস থেকে যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশক ও সে দিনগুলোতে আমলের ফযিলতের বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো, তাই এই দশকে আমরা খুবই গুরুত্ব সহকারে আমলে পরিব্যপ্ত হবো৷ এই দিনগুলোর প্রতিটা সময়কে আমরা গনিমত মনে করে কাজে লাগাব৷ ফযিলতের আরো দুটি হাদিস হযরত আবু হুরায়রা রাযি. হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: مَا مِنْ أَيَّامٍ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ أَنْ يُتَعَبَّدَ لَهُ فِيهَا مِنْ عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ، يَعْدِلُ صِيَامُ كُلِّ يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ وَقِيَامُ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ অর্থ: এমন কোন দিন নেই যে দিনগুলোর (নফল) ইবাদাত আল্লাহ্ তাআলার নিকট যিলহাজ্জ মাসের দশ দিনের ইবাদাত হতে বেশী প্রিয়। এই দশ দিনের প্রতিটি রোযা এক বছরের রোযার সমকক্ষ এবং এর প্রতিটি রাতের ইবাদাত কাদরের রাতের ইবাদাতের সমকক্ষ। (তিরমিযী: ৭৫৮, ইবনু মাজাহ: ১৭২৮, মুসনাদে বাযযার: ৭৮১৬) হযরত হাফসা রাযি. থেকে বর্ণিত, أَرْبَعٌ لَمْ يَكُنْ يَدَعُهُنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صِيَامَ عَاشُورَاءَ، وَالْعَشْرَ، وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَالرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ অর্থ: নবী ﷺ কখনো চারটি আমল পরিত্যাগ করেন নি। সেগুলো হল: আশুরার সওম, যিলহজ্বের দশ দিনের সওম, প্রত্যেক মাসে তিন দিনের সওম, ও ফযরের পূর্বের দুই রাকাত সালাত। (আহমদ: ৬/২৮৭, আবু দাউদ: ২১০৬, নাসায়ী: ২২৩৬، সহীহ ইবনু হিব্বান: ১৪/৩৩২) বর্ণনা দুটির সনদে যদিও দুর্বল রাবী রয়েছেন, কিন্তু আমলযোগ্য হওয়ায় এখানে নিয়ে আসা হয়েছে৷ আবু উসমান আন-নাহদি রাহ, বলেন: সালাফে সালেহীন তিনটি দশককে খুবই গুরুত্ব দিতেন৷ অধিক আমলে সচেষ্ট হতেন৷ এক- রামাযানের শেষ দশক৷ দুই- যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশক৷ তিন- মুহররম মাসের প্রথম দশক৷ (লাতাইফুল মা'আরিফ: ৩৯) এই দশকের আমলসমূহ: ১. যিলহজ্ব মাস প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে নখ, চুল ইত্যাদি না কাটা মুস্তাহাব৷ তাই যিলকদ মাসের শেষের দিকে নখ, চুল ইত্যাদি কেটে নেয়া উত্তম৷ হাদিসে এসেছে- إِذَا رَأَيْتُمْ هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ، وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ، فَلْيُمْسِكْ عَنْ شَعْرِهِ وَأَظْفَارِهِ. অর্থ: যখন যিলহজ্বের দশক শুরু হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে কুরবানী করবে সে যেন তার চুল নখ না কাটে। (সহীহ মুসলিম: ১৯৭৭, তিরমিযি: ১৫২৩) এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, যারা কুরবানি করবে, কেবল তারাই এই দশকে নখ, চুল কাটা থেকে বিরত থাকবে৷ তবে অন্য রেওয়ায়াত থেকে এটাও বোঝা যায় যে, এই হুকুম যারা কুরবানি করবে, শুধু তাদের জন্য না, বরং যারা কুরবানি করবে না, তাদের জন্যও প্রযোজ্য৷ যারা কুরবানি করবে না, তারাও মুস্তাহাব পালনের নিয়তে হাজি সাহেবগণের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে নখ, চুল কাটা থেকে বিরত থাকতে পারে৷ ২. এই ৯ দিন রোযা রাখা৷ হাদিসে এসেছে, রাসুল ﷺ এই দিনগুলোতে রোযা রাখতেন৷ যদিও আরাফার অর্থাৎ নয় যিলহজ্বের রোযার বিবরণ ছাড়া বাকি ৮ দিনের রোযা রাখার বিবরণগুলো যঈফ পর্যায়ের, তবুও সবগুলো হাদিস মিলিয়ে আমলযোগ্য৷ ৩. আরাফার দিবসের অর্থাৎ ৯ যিলহজ্বের রোযা রাখা অনেক বড় ফযিলতের আমল৷ হাদিসে এসেছে- صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ، أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ، وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ. অর্থ: ইয়াওমে আরাফার (নয় যিলহজ্ব) রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, তিনি এর দ্বারা এর আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। (সহীহ মুসলিম১১৬২, তিরমিযি: ৭৪৯, আবু দাউদ: ২৪২৫) ৪. ৯ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১৩ যিলহজ্ব আসর পর্যন্ত সর্বমোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর পুরুষ-নারী সবার জন্য তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা ওয়াজিব৷ পুরুষরা শব্দ করে এবং নারীরা আস্তে করে তাকবির পাঠ করবে৷ কুরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে- وَ اذْكُرُوا اللّٰهَ فِیْۤ اَیَّامٍ مَّعْدُوْدٰتٍ অর্থ: আর তোমরা আল্লাহকে স্মরণ কর (আইয়ামে তাশরীকের) নির্দিষ্ট দিনগুলোতে। (সূরা বাকারা: ২০৩) তাকবিরে তাশরিক হলো- الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلاالله والله أكبر، الله أكبر ولله الحمد. ৫. ঈদুল আযহার নামায: যিলহজ্ব মাসের দশম তারিখ অর্থাৎ নবম যিলহজ্ব আরাফার দিবসের পরের দিন হলো, ঈদুল আযহা বা কুরবানির ঈদ৷ ঈদুল আযহা মুসলিম মিল্লাতের দ্বিতীয় ঈদের দিন৷ ঈদুল আযহার নামায প্রত্যেক সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন পুরুষের উপর ওয়াজিব। রাসুলুল্লাহ ﷺ ঈদের নামায নিয়মিত আদায় করেছেন৷ সে যুগে মহিলারাও ঈদের নামাযে শরিক হতেন৷ কিন্তু আজকাল মানুষের দীনি অবস্থা, তাকওয়া ও পরহেযগারীর এই দৈন্যকালে নারিদের সাধারণভাবে ঈদগাহে আসার জন্য উৎসাহ প্রদান করা মোটেও ঠিক হবে না৷ যেখানে পরবর্তি যুগে সাহাবায়ে কেরাম প্রায় সবাই একমত হয়ে গিয়েছিলেন নারিদের ঘরের বাইরে গিয়ে মসজিদে নামায আদায়ের বিপক্ষে, সেখানে এ যুগের মতো নাজুক পরিস্থিতির সময় নারিদের উৎসাহিত করে ঈদগাহে নিয়ে যাওয়া মোটেও সমীচীন নয়৷ ৬. ঈদের নামায আদায়ের পর কুরবানি করা৷ যেহেতু এ দিনের আরেকটি ফযিলতপূর্ণ আমল হচ্ছে কুরবানি করা, তাই ঈদুল আযহার নামায ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয়ের পরপরই বেশি দেরি না করে আদায় করে নেয়া সুন্নাত৷ কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে- فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَ انْحَرْ. অর্থ: আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কুরবানি করুন। (সুরা কাওসার: ২) সামর্থ্যবান থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না, তার ব্যাপারে হাদিসে কঠোর ধমকি এসেছে- عن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من وجد سعة لأن يضحي فلم يضح فلا يقربن مصلانا. অর্থ:আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, যার কুরবানির সামর্থ্য আছে তবুও সে কুরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে৷ (মুসনাদে আহমদ: ২/৩২১; হাকেম: ৭৬৩৯; আত্তারগীব ওয়াত-তারহীব: ২/১৫৫) উপরোক্ত কুরআনের আয়াত, হাদিস ও অন্যান্য দলিলের আলোকে অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম সামর্থ্যবানদের জন্য কুরবানি করা ওয়াজিব বলেছেন৷ ৭. এ দিনগুলোতে মৌলিক ইবাদতগুলোর সমাবেশ ঘটে৷ হাফেয ইবনু হাজর আসকালানী রাহ. ফাতহুল বারী গ্রন্থে বলেন- والذي يظهر أن السبب في امتياز عشر ذي الحجة لمكان اجتماع أمهات العبادة فيه وهي الصلاة والصيام والصدقة والحج ولا يتأتى ذلك في غيره অর্থ: যিলহজের দশকের বৈশিষ্ট্যের কারণ যা প্রতীয়মান হয় তা হলো, এতে সকল মৌলিক ইবাদতের সন্নিবেশ ঘটে। যথা : সালাত, সিয়াম, সাদাকা, হজ্ব ইত্যাদি। অন্য কোনো দিন এতগুলো ইবাদতের সমাবেশ ঘটে না। (ফাতহুল বারী : ২/৪৬০) তাই সবগুলো আমল করার প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত৷ ৮. এই দিনগুলোতে অধিক পরিমাণে আল্লাহ তাআলার যিকির তথা তাসবীহ, তাহলীল পাঠ করা৷ সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ; এই তাসবীহগুলো বেশি বেশি পাঠ করা৷ যেমন হাদিসে এসেছে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন- ما من أيام أعظم عند الله ولا أحب إليه من العمل فيهن من هذه العشر، فأكثروا فيهن من التهليل والتكبير والتحميد. অর্থ: এ দশ দিনে (নেক) আমল করার চেয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে অধিক প্রিয় ও মহান আর কোনো আমল নেই। তোমরা এ সময়ে তাহলীল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ) তাকবীর (আল্লাহু আকবার) তাহমীদ (আল-হামদুলিল্লাহ) বেশি করে আদায় কর। (মুসনাদে আহমদ: ৫৪৪৬) ৯. বেশি বেশি করে তাওবা ইস্তেগফার করা৷ আল্লাহ তা'আলা বলেন- ﻭَﺗُﻮﺑُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ الله ﺟَﻤِﻴﻌﺎً ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﻔْﻠِﺤُﻮﻥَ. অর্থ: মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও৷ (সুরা নুর: ৩১) ﻭﻋَﻦْ ﺍﻷَﻏَﺮَّ ﺑﻦ ﻳﺴﺎﺭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ: ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺗُﻮﺑُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺈِﻧِّﻲ ﺃَﺗُﻮﺏُ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻣِﺎﺋَﺔَ ﻣَﺮَّﺓٍ. অর্থ: রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন: হে লোকসকল! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর। কেননা, আমি দিনে একশ বার আল্লাহর কাছে তওবা করি। (মুসলিম হাদীস নং-২৭০২) ১০. বিশেষভাবে এই দশকে এবং সাধারণভাবে সবসময় গোনাহ বর্জন করা৷ যেহেতু যিলহজ্ব মাস হচ্ছে চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম, তাই এ মাসের গুরুত্বপূর্ণ আদাব হলো গোনাহমুক্ত থাকা৷ এই দশক নিয়ে আমরা প্রত্যেকে একটা পরিকল্পনা সাজাতে পারি যে, আমরা এই ১০ দিন কোনো ওয়াক্তের নামাযের জামাত মিস করব না। প্রতিরাত তাহাজ্জুদ পড়ব। প্রতিদিন ইশরাকের নামায পড়ব। নফল নামায বেশি বেশি করে পড়ব। প্রতিদিন সাদাকা করতে ভুলব না। অন্তত এক খতম কুরআন তিলাওয়াত করব ইত্যাদি। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন৷